Summary
নিচে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দিবস ও তাদের তারিখগুলি উল্লেখ করা হলো:
- ২৬ জানুয়ারি: আন্তর্জাতিক শুল্ক দিবস
- ২ ফেব্রুয়ারি: বিশ্ব জলাভূমি দিবস
- ৪ ফেব্রুয়ারি: বিশ্ব ক্যানসার দিবস
- ১৪ ফেব্রুয়ারি: সুন্দরবন দিবস
- ২১ ফেব্রুয়ারি: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
- ২২ ফেব্রুয়ারি: আন্তর্জাতিক স্কাউট দিবস
- ৩ মার্চ: বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস
- ৮ মার্চ: বিশ্ব নারী দিবস
- মার্চের ২য় সোমবার: কমনওয়েলথ দিবস
- ১০ মার্চ: দুর্যোগ প্রশমন দিবস
- ১৪ মার্চ: বিশ্ব পাই দিবস
- ২১ মার্চ: বিশ্ব বর্ণবৈষম্য বিরোধী দিবস
- ২১ মার্চ: বিশ্ব বন দিবস
- ২২ মার্চ: আন্তর্জাতিক পানি দিবস
- ২৩ মার্চ: আন্তর্জাতিক আবহাওয়া দিবস
- ২৪ মার্চ: বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস
- ২৫ মার্চ: জাতীয় গণহত্যা দিবস
- ২৬ মার্চ: স্বাধীনতা দিবস
- ৭ এপ্রিল: বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস
- ২২ এপ্রিল: বিশ্ব ধরিত্রী দিবস
- ২৫ এপ্রিল: বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস
- ১লা মে: আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস/মে দিবস
- ৫ মে: বিশ্ব ধাত্রী দিবস
- ৮ মে: রেড ক্রস/রেড ক্রিসেন্ট দিবস
- মে মাসের ২য় রবিবার: মা দিবস
- ২২ মে: আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র দিবস
- ৩১ মে: বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস
- ৫ জুন: বিশ্ব পরিবেশ দিবস
- ৮ জুন: বিশ্ব মহাসাগর দিবস
- ২৩ জুন: পাবলিক সার্ভিস দিবস
- ২৬ জুন: বিশ্ব মাদক বিরোধী দিবস
- ১১ জুলাই: বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস
- ২৯ জুলাই: বিশ্ব বাঘ দিবস
- ৬ আগস্ট: হিরোসিমা দিবস
- ৯ আগস্ট: বিশ্ব আদিবাসী দিবস
- ৩ সেপ্টেম্বর: CEDAW
- ৮ সেপ্টেম্বর: বিশ্ব সাক্ষরতা দিবস
- ১৫ সেপ্টেম্বর: আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস/জাতীয় ইনকাম ট্যাক্স
- ১৬ সেপ্টেম্বর: আন্তর্জাতিক ওজন দিবস
- ২১ সেপ্টেম্বর: আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস
- ২৪ সেপ্টেম্বর: মীনা দিবস
- ২৫ সেপ্টেম্বর: OIC দিবস
- ২৭ সেপ্টেম্বর: বিশ্ব পর্যটন দিবস
- ২৯ সেপ্টেম্বর: বিশ্ব শিশু অধিকার দিবস
- ৪ অক্টোবর: বিশ্ব প্রাণী দিবস
- ৫ অক্টোবর: বিশ্ব শিক্ষক দিবস
- ৯ অক্টোবর: বিশ্ব ডাক দিবস
- ১৫ অক্টোবর: বিশ্ব সাদা ছড়ি দিবস
- ১৬ অক্টোবর: বিশ্ব খাদ্য দিবস
- অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার: বিশ্ব খাদ্য দিবস
- ২৪ অক্টোবর: জাতিসংঘ দিবস
- ১৪ নভেম্বর: বিশ্ব ডায়াবেটিকস দিবস
- ৩০ নভেম্বর: বিশ্ব ট্যাক্স দিবস
- ১লা ডিসেম্বর: জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা/এইডস দিবস
- ৫ ডিসেম্বর: বিশ্ব মাটি দিবস
- ৯ ডিসেম্বর: আন্তর্জাতিক গণহত্যা/রোকেয়া দিবস
- ১০ ডিসেম্বর: আন্তর্জাতিক মানবাধিকার/জাতীয় ভ্যাট দিবস
- ১১ ডিসেম্বর: বিশ্ব পর্বত দিবস
- ১২ ডিসেম্বর: জাতীয় তথ্য ও প্রযুক্তি দিবস
- ১৬ ডিসেম্বর: জাতীয় বিজয় দিবস
- ২৬ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক শুল্ক দিবস
- ২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব জলাভূমি দিবস
- ৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ক্যানসার দিবস
- ১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন দিবস
- ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
- ২২ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক স্কাউট দিবস
- ৩ মার্চ বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস
- ৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবস
- মার্চের ২য় সোমবার কমনওয়েলথ দিবস
- ১০ মার্চ দুর্যোগ প্রশমন দিবস
- ১৪ মার্চ বিশ্ব পাই দিবস
- ২১ মার্চ বিশ্ব বর্ণবৈষম্য বিরোধী দিবস
- ২১ মার্চ বিশ্ব বন দিবস
- ২২ মার্চ আন্তর্জাতিক পানি দিবস
- ২৩ মার্চ আন্তর্জাতিক আবহাওয়া দিবস
- ২৪ মার্চ বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস
- ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস
- ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস
- ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস
- ২২ এপ্রিল বিশ্ব ধরিত্রী দিবস
- ২৫ এপ্রিল বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস
- ১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস/মে দিবস
- ৫ মে বিশ্ব ধাত্রী দিবস
- ৮ মে রেড ক্রস/রেড ক্রিসেন্ট দিবস
- মে মাসের ২য় রবিবার মা দিবস
- ২২ মে আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র দিবস
- ৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস
- ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস
- ৮ জুন বিশ্ব মহাসাগর দিবস
- ২৩ জুন পাবলিক সার্ভিস দিবস
- ২৬ জুন বিশ্ব মাদক বিরোধী দিবস
- ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিব
- ২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবস
- ৬ আগস্ট হিরোসিমা দিবস
- ৯ আগস্ট বিশ্ব আদিবাসী দিবস
- ৩ সেপ্টেম্বর CEDAW
- ৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ব সাক্ষরতা দিবস
- ১৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস/ জাতীয় ইনকাম ট্যাক্স
- ১৬ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক ওজন দিবস
- ২১ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস
- ২৪ সেপ্টেম্বর মীনা দিবস
- ২৫ সেপ্টেম্বর OIC দিবস
- ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবস
- ২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ব শিশু অধিকার দিবস
- ৪ অক্টোবর বিশ্ব প্রাণী দিবস
- ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবস
- ৯ অক্টোবর বিশ্ব ডাক দিবস
- ১৫ অক্টোবর বিশ্ব সাদা ছড়ি দিবস
- ১৬ অক্টোবর World Habitat Day
- অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার বিশ্ব খাদ্য দিবস
- ২৪ অক্টোবর জাতিসংঘ দিবস
- ১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিকস দিবস
- ৩০ নভেম্বর বিশ্ব ট্যাক্স দিবস
- ১লা ডিসেম্বর জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা/এইডস দিবস
- ৫ ডিসেম্বর বিশ্ব মাটি দিবস
- ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক গণহত্যা/ রোকেয়া দিবস
- ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার/ জাতীয় ভ্যাট দিবস
- ১১ ডিসেম্বর বিশ্ব পর্বত দিবস
- ১২ ডিসেম্বর জাতীয় তথ্য ও প্রযুক্তি দিবস
- ১৬ ডিসেম্বর জাতীয় বিজয় দিবস
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
১০০০ বছর
২০০০ বছর
২৫০০ বছর
২৭০০ বছর
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
আন্তর্জাতিক নারী দিবস ( পূর্বনাম আন্তর্জাতিক কর্মজীবী নারী দিবস) প্রতি বছর মার্চ মাসের ৮ তারিখে পালিত হয়। সারা বিশ্বব্যাপী নারীরা একটি প্রধান উপলক্ষ হিসেবে এই দিবস উদ্যাপন করে থাকেন। বিশ্বের এক এক প্রান্তে নারীদিবস উদ্যাপনের প্রধান লক্ষ্য এক এক প্রকার হয়। কোথাও নারীর প্রতি সাধারণ সম্মান ও শ্রদ্ধা উদ্যাপনের মুখ্য বিষয় হয়, আবার কোথাও মহিলাদের আর্থিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠাটি বেশি গুরুত্ব পায়।
ই দিবসটি উদ্যাপনের পেছনে রয়েছে নারী শ্রমিকের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের ইতিহাস। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে মজুরিবৈষম্য, কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা, কাজের অমানবিক পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমেছিলেন সুতা কারখানার নারী শ্রমিকেরা। সেই মিছিলে চলে সরকার লেঠেল বাহিনীর দমন-পীড়ন। ১৯০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত নারী সমাবেশে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন হলো। ক্লারা ছিলেন জার্মান রাজনীতিবিদ; জার্মান কমিউনিস্ট পার্টির স্থপতিদের একজন। এরপর ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন। ১৭টি দেশ থেকে ১০০ জন নারী প্রতিনিধি এতে যোগ দিয়েছিলেন। এ সম্মেলনে ক্লারা প্রতি বৎসর ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাব দেন। সিদ্ধান্ত হয়ঃ ১৯১১ খ্রিস্টাব্দ থেকে নারীদের সম-অধিকার দিবস হিসেবে দিনটি পালিত হবে। দিবসটি পালনে এগিয়ে আসে বিভিন্ন দেশের সমাজতন্ত্রীরা। ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে বেশ কয়েকটি দেশে ৮ মার্চ পালিত হতে লাগল। বাংলাদেশেও ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীনতার লাভের পূর্ব থেকেই এই দিবসটি পালিত হতে শুরু করে। অতঃপর ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। দিবসটি পালনের জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রকে আহ্বান জানায় জাতিসংঘ। এরপর থেকে সারা পৃথিবী জুড়েই পালিত হচ্ছে দিনটি নারীর সমঅধিকার আদায়ের প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করার অভীপ্সা নিয়ে। সারা বিশ্বের সকল দেশে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস।
সোর্সঃ Wikipedia
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ১৯৭১ সালের এই দিনে বিশ্বের বুকে বাঙালির স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।
২৫ মার্চ মধ্যরাতের আগে আগে পাকিস্তানিরা শুরু করে গণহত্যা। সেদিন মধ্যরাতের পর পরই বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন, ‘আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন।’ এই ঘোষণার পরে নয় মাস মুক্তিযুদ্ধের সিঁড়ি বেয়ে ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে চূড়ান্ত বিজয় লাভ করে বাংলাদেশ।
প্রতি বছর বিনম্র শ্রদ্ধা ও গভীর কৃতজ্ঞতায় দিনটি পালন করা হয়। স্মরণ করা হয় স্বাধীনতার জন্য আত্মদানকারী দেশের বীর সন্তানদের। জাতি শ্রদ্ধা জানায় মহান স্বাধীনতার রূপকার বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক জাতীয় চার নেতা, নৃশংস গণহত্যার শিকার লাখো সাধারণ মানুষ এবং সম্ভ্রম হারানো মা-বোনের প্রতি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধাপে ধাপে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেন। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অবসানের পর বাঙালিরা অনুভব করে, তারা পাকিস্তান নামক নতুন ঔপনিবেশ পরাধীনতার নাগপাশে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে। পাকিস্তানি শাসনের শুরুতেই ভাষার প্রশ্নে একাত্ম হয় বাঙালি। বায়ান্ন পেরিয়ে চুয়ান্ন, বাষট্টি, ছেষট্টির পথ বেয়ে আসে ১৯৬৯। প্রবল গণ-অভ্যুত্থানে কেঁপে ওঠে তৎকালীন সামরিক শাসক জেনারেল আইয়ুবের মসনদ। ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো-বাংলাদেশ স্বাধীন করো’, ‘জাগো জাগো বাঙালি জাগো’, ‘তোমার আমার ঠিকানা- পদ্মা মেঘনা যমুনা, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে গ্রাম-শহর, জনপদ।
বাঙালির ন্যায্য দাবিকে উপেক্ষা করতে না পেরে ১৯৭০ সালে নির্বাচন দেয় সরকার। ষড়যন্ত্র ও সামরিক জান্তার রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে সত্তরের জাতীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পায় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ। কিন্তু বাঙালির হাতে শাসনভার দেয়ার বদলে শুরু হয় ষড়যন্ত্র। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পর প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির জুলফিকার আলী ভুট্টো বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলোচনার নামে করতে থাকেন কালক্ষেপণ। পর্দার আড়ালে প্রস্তুত হয় হিংস্র কায়দায় বাঙালি হত্যাযজ্ঞের ‘নীলনকশা’।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে হাজার হাজার মানুষ হত্যা করে। হানাদাররা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল, ইকবাল হল, রোকেয়া হল, শিক্ষকদের বাসা, পিলখানার ইপিআর সদর দপ্তর, রাজারবাগ পুলিশ লাইনে একযোগে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে হত্যা করে অগণিত নিরস্ত্র দেশপ্রেমিক ও দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। পাকহানাদার বাহিনী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় একাধিক গণকবর খুঁড়ে সেখানে শত শত লাশ মাটি চাপা দিয়ে তার ওপর বুলডোজার চালায়। আক্রমণ চালানো হয় পিলখানায় ইপিআর সদর দপ্তর ও রাজারবাগ পুলিশ লাইনে।
বঙ্গবন্ধু তার দূরদর্শী সিদ্ধান্তে ওয়্যারলেসের মাধ্যমে ঘোষণা করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হ্যান্ডবিল আকারে ইংরেজি ও বাংলায় ছাপিয়ে চট্টগ্রামে বিলি করা হয়। আওয়ামী লীগের শ্রম সম্পাদক জহুর আহমেদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা চট্টগ্রামের ইপিআর সদর দপ্তর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ওয়্যারলেস মারফত পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান ২৬ মার্চ বেলা ২টা ১০ মিনিটে এবং ২টা ৩০ মিনিটে চট্টগ্রাম বেতার থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। এদিকে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা সেনানিবাসে নিয়ে যাওয়া হয়৷
বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকেই শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। ওই রাতেই তৎকালীন পূর্ব বাংলার পুলিশ, ইপিআর ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা শুরু করে প্রতিরোধ যুদ্ধ, সঙ্গে যোগ দেয় সাধারণ মানুষ। ৯ মাসের যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর দেশ শত্রুমুক্ত হয়।
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
Read more